নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নে কুমারিতলাস্থানে নিয়মবর্হিভুতভাবে হাট বসানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিয়ম ও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে হাট বসিয়ে রীতিমত খাজনা তোলা শুরু করেছেন।
তবে এ বিষয় বারবার স্থানীয় লোকজন বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। বরণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই এলাকার প্রভাবশালীদের সাথে যোগসাজস করে হাট বসাতে ইন্ধন যোগাচ্ছেন এমন অভিযোগও করা হচ্ছে। অবৈভাবে বসানো হাট বন্ধের জন্য স্থানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। তবে হাটটি পরিদর্শন করে বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নিদের্শ দিলেও বন্ধ হচ্ছে না।জানা গেছে, কোনো স্থানে একটি হাট বা বাজার বসাতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হয়। হাট সবাতে হলে সরকারীভাবে কিছু জায়গার প্রয়োজন হয়। কিন্তু গণিপুর ইউনিয়নে কুমারিতলাস্থানে পাশের পাকুড়িয়াতলা এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকজন স্থানীয়দের জায়গা দখল করে সেখানে হাট বসিয়েছে। সেখান থেকে তোলা হচ্ছে খাজনাও।
সরজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই এলাকার কিছু প্রভাবশালীরা গত ২৯ মার্চ হঠাৎ করে অবৈধভাবে কুমারিতলা নামকস্থানে হাট বসানো হয়। প্রতি শনি ও বুধবার করে এই হাট বসে। গত প্রায় ১২ সপ্তাহ থেকে এখানে হাট চলছে। আর হাটে স্থানীয়রা যে পণ্য এনে বিক্রি করছেন সেখানে টোলের নামে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। এক সপ্তাহে এই হাটের টোলের পরিমাণ প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এ হাটে আদায় টাকা যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী ও বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পকেটে। অবৈধভাবে কুমারিতলাস্থানে হাট বসার কারণে পার্শ্ববর্তি পাকুড়িয়া, কুঠিবাড়ি, মাদারীগঞ্জ, মোহনগঞ্জ, কালীগঞ্জ হাটগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জানা গেছে, আশপাশের ৫টি হাট সরকারীভাবে ১ কোটি ৭০লাখ টাকা দিয়ে ইজারা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই হাটগুলো ইজারাদাররা টাকা জমা দিয়ে এখনো বুঝে নিতে পারেন নি। কিন্তু এরই মধ্যে বাগমারার কুমারিতলা অবৈধভাবে হাট বসানো হয়েছে। ফলে এই ৫টি হাটের ইজারাদাররা চরমভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি সম্মুখীন হচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী একটি হাট বসানো হলে সেটি সরকারীভাবে ইজারা দিতে হয়। আর ইজারার টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয়। কিন্তু সদ্য বসানো এই হাটের টোল আদায় করে সেই টোলের টাকা হচ্ছে ভাগবাটোয়ারা।
স্থানীয়রা বলছেন, অন্যান্য হাটের চেয়ে সদস্য বসানো কুমারিতলার হাটে খাজনার তোলা হয় বেশি। রীতিমত রশিদ দিয়ে তারা খাজনার নামে চাঁদা তুলছেন। কোনো কুষক পণ্য নিয়ে গিয়ে এই হাটে বিক্রি করলে তাকে গলাকাটা টোল দিতে হচ্ছে। এতে মাঝে মাঝেই হাটের টোল আদায়কারীদেও সাথে পণ্য বিক্রেতা বা কৃষকদেও বাকবিতন্ডা লেগে থাকছে। যেকোনো সময় টোল আদায়কে কেন্দ্র কওে অপ্রিকর ঘটনা ঘটতে পাওে এমনটাও আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা।
এই বিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,এফ,এম আবু সুফিয়ান বলেন, এ হাটটি নিয়ে বাগমারার কুমারিতলা ও পাকুড়িয়াতলা এলাকার লোকজন জেলা প্রশাসকের সাথে বসেছেন। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি জমি দেয়ার কথাও বলেছে। যদি নিয়মতান্ত্রিকভাবে হাট বসানো হয়, তাহলে উপজেলা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, নইলে হাটটি বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে হাটের সাথে ইউএনও’র কোনো সংশ্লিষ্ঠতা নেই বলেও জানান তিনি।