নিউজ ডেস্ক: আবু সাঈদ। তাকে দেখলেই আঁতকে ওঠেন নারীরা। তবে অল্প বয়সী নারীদের কাছে এক আতঙ্কের নাম। প্রতিবেশী চাচি-খালা এমনকি নববধূরাও রেহাই পাননি তার কুনজর থেকে। লোকলজ্জার ভয়ে এতদিন কেউ মুখ না খুললেও এবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এক গৃহবধূ।
এরপরই বেরিয়ে আসছে সাঈদের একের পর এক কুকীর্তি।৫৩ বছর বয়সী সাঈদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে। তিনি উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের মাদলা গ্রামের আহম্মেদ প্রামাণিকের ছেলে।
ভুক্তভোগীরা জানান, গভীর রাতে প্রতিবেশীর ঘরে উঁকি মেরে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখাই সাঈদের মূল নেশা। রাত হলেই চুপিচুপি গিয়ে দরজা, জানালা দিয়ে উঁকি মারেন কিংবা টিনের বেড়া ফুটো করে চোখ লাগিয়ে ভেতরের দৃশ্য দেখেন।
এছাড়া গ্রামের অল্প বয়সী নারীদের বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দেন সাঈদ। বিকৃত যৌনকামনা পূরণের জন্য সুযোগ বুঝে যাকে তাকে জাপটে ধরেন। এমনকি তার বিকৃত লালসা থেকে রেহাই পাননি আপন চাচিও। তাকে নিয়ে কয়েকবার এলাকায় সালিশও হয়েছে। কিন্তু না শুধরিয়ে উল্টো আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
সাঈদের বিরুদ্ধে করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের এক গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করছিলেন সাঈদ। বিষয়টি নিজের পরিবারকে জানালে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। ৫ জুলাই রাতে বাড়ির টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সাঈদ পেছন থেকে গৃহবধূকে জাপটে ধরেন। পরে গৃহবধূর চিৎকারে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও প্রতিবেশীরা এলে তিনি পালিয়ে যান। পরে ১২ জুলাই দুপুরে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
অভিযোগের বিষয়ে আবু সাঈদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে সবাই অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি এ ধরনের কাজ করিনি।
শাহজাদপুর থানার এসআই আনিসুর রহমান বলেন, সাঈদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।