চারঘাট প্রতিনিধিঃ সুইডিশ আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত সারদা থানাপাড়ায় হাতে তৈরী পন্য দেখে মুগ্ধ হলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদুত মিস আলেকজান্দ্রা বর্গ ডন লিনডা।
মঙ্গলবার সারদা থানাপাড়া থেকে বিদায় বেলায় তিনি এ মুগ্ধতার কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, দূতাবাসের কাউন্সিলর মি: জ্যাকব ইটাট, ফাষ্ট সেক্রেটারী মি: আনা ভানটেশন, ইন্টার্ন মিস লিনডাভরিন।জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদা থানপাড়া সোয়ালোজে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদুত মিস আলেকজান্দ্রা বর্গ ডন লিনডাসহ ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এরপর রাত যাপন করে মঙ্গলবার থানাপাড়া সোয়ালোজের হস্তশিল্পজাত পন্য উৎপাদন কারখানা ঘুরে দেখন।এসময় তিনি হাতে তৈরী পন্য দেখে মুগ্ধ হন। পরে তিনি থানাপাড়া সেয়াালোজের চলমান উন্নয়শীল কর্মকান্ডগুলো ঘুরে দেখেন। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নির্বাহী পরিচালক রায়হান আলী ও পরিচালক মাহমুদা বেগমের আমন্ত্রনে তিনি চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফকরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন ও পৌর মেয়র একরামুল হকসহ সোয়ালোজের স্টাফদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।থানাপাড়া সেয়ালোজ সুত্রে জানা যায়, সোয়ালোজ’ সুইডেনের একটি পাখির নাম। সুইডেন ভাষায় একে সুখের পায়রা বলা হয়। প্রচার রয়েছে চরম সংকটকালে সোয়ালাজ উড়ে এসে সুখের পথ দেখায়। সুখের নাগাল পাইয়ে দিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।
বিষয়টি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হলেও সারদায় সোয়ালোজ শব্দটি বাস্তবতার স্বাক্ষর রেখেছে। সুইডেন-বাংলাদেশ কুটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত বইয়ে ৫০টি উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ডে উঠে এসেছে সোয়ালোজ সুইডেন এর আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন।
দা সোয়ালোজ থানাপাড়া প্রজেক্ট নামে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে মুক্তিযদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও বিধবাদের কর্মসংস্থানর সুযোগ করে দেয়। স্বামী, ভাই বা সন্তান হারা এরকম ১৭ জন নারীকে হস্তশিল্পে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়।বর্তমানে থানাপাড়া সোয়ালোজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নামে এই সংস্থায় কর্মসংস্থানের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প, ডে-কেয়ার প্রকল্প, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ, কৃষি ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের কার্যক্রম চালু রয়েছে।