November 28, 2024, 3:48 am

রাজশাহীতে বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহীতে বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভালবেসে বিয়ে করায় এবার বাবা, মামাসহ আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তোলা হয়েছে। বাবার বিরুদ্ধে আইরিন নামে মেয়ে  রীতিমত অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন ধুবিল মেহমান শাহী গ্রামের আবু হানিফ আকন্দের (৬০) মেয়ে আইরিন খাতুন (২৮) তার নিজ পিতা এবং মামা ফরিদসহ বেশকিছু আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে  সংবাদ সম্মেলন করেন।  সোমবার (৫ জুন) রাজশাহীর শাহমখদুম থানার রায়পাড়া এলাকায় আইরিন তার নিজ শ্বশুর বাড়িতে বিকাল সাড়ে ৩ টায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন।সংবাদ সম্মেলনে আইরিন অভিযোগ করে বলেন, গত বছর ৩ মার্চ  (শনিবার) রাজশাহীর চন্দ্রিমা এলাকাধীন খড়খড়ীতে শরিফুল ইসলাম (২৮); পিতাঃ শফিকুল ইসলাম; সাং- বাসা নং-১৪৫০, কাউতলী; ডাকঘরঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া; থানাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ; জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই এবং বর্তমানে রাজশাহী আরএমপির এলাকাধীন শাহমখদুম থানার রায়পাড়ায় আমার শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর সাথে সংসার করছি।

বর্তমানে বিয়েকে কেন্দ্র করে আমার পিতা (আবু হানিফ আকন্দ) এবং মামা (ফরিদ)সহ বেশ কিছু আত্মীয়স্বজন আমাকেসহ আমার স্বামীর পরিবারের লোকজনদের মারার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে। আবার বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি এবং মিথ্যে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে ফাঁসানোর কথাও বলছে যার অডিও রেকর্ডও আছে। তাই আমি আমার পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা দেখছি। আমি এবং আমার স্বামী উভয়েই একসাথে মিলে সংসার করতে চাই। আমরা উভয়েই প্রাপ্ত বয়স্ক। আমরা উভয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স  শেষ করেছি।

আইরিন আরও অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মধ্যে প্রায় কয়েক বছর ধরে ভলোবাসার সম্পর্ক ছিল যা আমার পরিবার মেনে নিত না। বিবাহের আগে থেকেই প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করতে যেন না পারি সে জন্য আমার পরিবার কতৃক বিভিন্ন রকম শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে এতটাই শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করত যে, প্রায় তিন মাস ধরে প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকতা করা অবস্থায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হই। তারপরেও পালিয়ে ঢাকাতে অবস্থানকালে ফোনালাপের মাধ্যমে এতটায় মানসিক নির্যাতনের শিকার হই যে, আমি আত্মহত্যার চেষ্টা করি এবং আমার মাথার সকল চুল কেটে ফেলে দেই। প্রফেসর ডাঃ সুশান্ত কুমার সরকার (নিউরোমেডিসিন) এর কাছে গেলে  তার প্রেসক্রিপশনে তিনি মানসিক চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এরপর আমি আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলি এবং তারপর শ্বশুর বাড়ির সম্মতি নিয়ে শরিফুল ইসলামকে বিবাহ করি।

এ বিষয়ে গত ৪ জুন রাজশাহী পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন বলেও জানান তিনি।এদিকে আইরিনের স্বামী শরিফুল ইসলাম জানান, আমাদের বিয়ে নিয়ে এমন হবে ভাবতেই পারি নাই। আমরা দুই জন দুইজনকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসতাম। আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করেছি। এখন নিজে প্রকাশনা নিয়ে ব্যবসা করছি। কিন্তু তারা চাকুরিজীবীর সাথে বিয়ে দিতে চাই। এই নিয়েই মূলত আমার সাথে বিরোধ বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনের পরে আইরিনের ভাসুর ডাঃ মোজাম্মেল হককে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আইরিনের বাসার লোকজন বিভিন্ন সময় আমাকে এবং পরিবারের লোকজনদের ফোন করে বিরক্ত করছে এবং দেখে নেওয়ার ও হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে মুঠোফনে আইরিনের পিতা আবু হানিফ আকন্দের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.