নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২১ জুন আসন্ন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সফল মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন-কে নৌকা প্রতীকে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় নগরীর জয় বাংলা চত্বর থেকে নির্বাচনী প্রচার মিছিল বের হয়।
মিছিলটি সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট হয়ে কুমাড়পাড়া দলীয় কার্যালয় ঘুরে আরডিএ মার্কেটের সামনে দিয়ে মনিচত্বর হয়ে সোনাদিঘি মোড় হয়ে পুনরায় জয় বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন ও নৌকার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। প্রচার মিছিল শুরুর পূর্বে জয় বাংলা চত্বরে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। পথসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। পথসভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। পথসভা সঞ্চালনা করেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু। আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ জয় বাংলা চত্বরে জমায়েত হয়েছে। প্রচার-প্রচারণায় মানুষের যে সাড়া পেয়েছি, ২১ জুন নৌকার বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, যারা নির্বাচন বর্জন করেছে, তারা মনে করেছিল তাদের ছাড়া নির্বাচন হবে না। দেখুন রাজশাহীতে কত উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন বর্জন করে নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি, আগামী জাতীয় নির্বাচনও ঠেকাতে পারবেন না।খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পিছিয়ে পড়া রাজশাহী এখন অনেক এগিয়ে গেছে। রাজশাহীকে বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, রাজশাহীকে বদলে দিয়েছি। পরিচ্ছন্ন, সবুজ, শান্তির শহর রাজশাহীর পালকে আরেকটি অর্জন আগামীতে যোগ হবে সেটি হলো কর্মসংস্থান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে, বিসিক শিল্পনগরী-২ এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বিসিক-২ এ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হবে। দুই বছরের মধ্যে চামড়া শিল্প পার্ক গড়ে তোলা হবে। আমি বিশ্বস করি কোন মুসলমান যদি সৎ নিয়ে মানুষের কল্যানে কিছু করতে চান, মহান আল্লাহ তার হাতের শক্তি বাড়িয়ে দেন। ইনশাল্লাহ আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে রাজশাহীর মানুষের জন্য কর্মসংস্থান করতে পারবো। আগামী ৫ বছরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই।
সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে নৌবন্দর স্থাপন করা হবে। মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ হয়ে রাজশাহী হয়ে আরিচা পর্যন্ত নৌরুট চালু, রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি বাস ও ট্রেন চালু করতে চাই।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ২১ জুন আমাদের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন বিজয়ী হবেন। যারা বলেছিলেন নির্বাচন হতে দেবেন না তারা এসে দেখে যান জয় বাংলা চত্ত্বরে হাজার হাজার নৌকার পক্ষে মানুষ জড়ো হয়েছে। তারা সবাই নৌকায় ভোট দেয়ার অপেক্ষায় আছেন। আপনাদের নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা নাই। ২১ জুন লিটনকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়ে দেব রাজশাহী আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। আপনারা লিটনকে সকাল বেলা ভোট দিবেন, সন্ধ্যায় বিজয়ের মালা পরিয়ে দেবেন।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী বলেন, ২ জুন প্রতীক পাওয়ার পর থেকে ৩৭ টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড এর সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা, বিশেষ করে নারীরা তীব্র গরম উপেক্ষা করে নৌকার পক্ষে কাজ করে গেছেন। রাজশাহীবাসী উন্নয়নের সাথে আছে, ২১ জুন নৌকায় ভোট দিয়ে প্রমাণ করবে। বিশেষ করে নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোট দেবেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, আগামী ২১ জুন নৌকা ভোট দেওয়ার জন্য রাজশাহীর সর্বস্তরের জনসাধারণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন। নৌকার পক্ষে মানুষের মধ্যে যে সাজা, যে জাগরণ, বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা বলেন, রাজশাহীর উন্নয়নে জন্য, আপনার আমাদের কল্যানের জন্য মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। আমরা খায়রুজ্জামান লিটনের জন্য কাজ করেছি, তিনি রাজশাহীর তরুণ-তরুণীদের ভবিষ্যৎ গড়ে দিবেন।কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যাম দত্ত, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ফ ম আ জাহিদ, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, জাসদ রাজশাহী মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য নফিকুল ইসলাম সেল্টু, জহির উদ্দিন তেতু, মোশফিকুর রহমান হাসনাত, নজরুল ইসলাম তোতা, আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, মহিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, খায়রুল বাশার শাহীন, মোখলেশুর রহমান কচি, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রমহতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ সহ নেতৃবৃন্দ।