বুধবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নাইটেঙ্গেল মোড় এবং ফকিরাপুল মোড়ে শতাধিক পুলিশ সদস্যকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
যদিও সকাল ৯টার আগে পর্যন্ত এই এলাকায় তেমন কোনো পুলিশ সদস্যদের চোখে পড়েনি।
এদিকে সমাবেশকে ঘিরে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য নয়াপল্টনের একপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ফকিরাপুল মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে ফকিরাপুল-নাইটেঙ্গেল মোড় পর্যন্ত রাস্তার একপাশও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে নাইটেঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত রাস্তার অন্যপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে মতিঝিল জোনের এসি (পেট্রোল) আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, আমরা প্রতিদিন যে দায়িত্ব পালন করি, আজও সে দায়িত্ব পালন করছি। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমরা সতর্ক থাকব। কেউ যদি রাষ্ট্রের ক্ষয়ক্ষতি করতে চায়, জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে চায়- তাহলে আমরা তাদের প্রতিহত করব।
রাস্তার একপাশে যান চলাচল বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আজকে এখানে বিএনপির সমাবেশ, তাই এই রাস্তায় যান চলাচল কিছুটা কম। তাছাড়া তাদের সমাবেশের অনুমতি রয়েছে, তাই পার্টি অফিসের সামনে যান চলাচল বন্ধ করতেই হবে। পরিস্থিতি বুঝে রাস্তার অন্যপাশও বন্ধ করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত একপাশে যান চলাচল সচল রয়েছে।
ফকিরাপুল মোড়ে দায়িত্বরত মতিঝিল থানার তদন্ত কর্মকর্তা রাসেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, যেহেতু এখানে আজ বিএনপির সমাবেশ, এজন্য তাদের পার্টি অফিসের সামনের রাস্তার একপাশে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে হতে দেখা গেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের। বেলা ১১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছেন।