নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তানোর থানার সহকারী কমিশনার ভূমি নাজির ফিরোজ কবীরের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত খাস কালেকশন আদায় চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী প্রশান্ত হালদার ১৪ জুলাই রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারী জেলার মোহনপুর উপজেলার মেলান্দী গ্রামের প্রশান্ত হালদার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তিনি বর্তমান মৌসুমে খাস কালেকশানে পুকুর নেয়ার জন্য ০৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তানোরে সহকারি ভূমি অফিসে যান। সেখানে গিয়ে খাস কালেকশন লিজের জন্য বললে সেখানকার নাজির ফিরোজ কবীর তাকে জানান যে খাস কালেকশন প্রতি শতকে ৩০০ টাকা করে দিতে হবে। তার জানা মতে খাস কালেকশন শতক প্রতি ১০৫ টাকা বেশি নয়।
বিষয়টি তিনি তানোর সহকারি ভূমি কমিশনারের কাছে জানাতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে নাজির ফিরোজ কবীর। নাজির ফিরোজ কবীর রাগান্বিত হয়ে সহকারি ভূমি কমিশনার অফিস থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে নিজের রুমের দিকে নিয়ে যান। সেখানে প্রশান্ত কুমারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। শুধু তাই না, তাকে জেলে পাঠানোর হুমকিও পর্যন্ত দেয়া হয়।
প্রশান্ত কুমার জানান, আমি ওই ঘটনার শিকার তা উপস্থিত অনেকেই জানেন ও দেখেছেন। আমি অভিযোগ যা দিয়েছি তা ০৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলে প্রমান পাওয়া যাবে। নাজির ফিরোজ কবীর তাকে কি পরিমানে লাঞ্ছিত করেছে তা অফিসের ভিডিও ফুটেজে পাওয়া যাবে।
প্রশান্ত কুমার বলেন, আমি সেবা প্রার্থনাকারী একজন মানুষ। আমি সরকারি অফিসে সেবা গ্রহনের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু নাজির ফিরোজ কবীর একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে কিভাবে আমাকে তার অফিসে লাঞ্ছিত করে। আমি এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অবেদন করেছি।
এ বিষয়ে নাজির ফিরোজ কবীর বলেন, খাস কালেকশনের বিষয়টি তার অফিস দ্যাখে না। এটা তহসিল অফিস দ্যাখে।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। কেউ আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ অভিযোগ দিয়েছেন।