নিজস্ব প্রতিবেদক: নবনির্মিত রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ফলক উন্মোচন ও বেলুন- ফেস্টুন উড়িয়ে কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
৯৪ কোটি ১২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৬ দশমিক ৬৯ একর জমির উপর নবনির্মিত রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, প্রশাসন ও একাডেমিক ভবন, এম.আই.ইউনিট ভবন, পুরুষ স্টাফ ও প্রশিক্ষণার্থী ব্যারাক, মহিলা স্টাফ ও প্রশিক্ষণার্থী ব্যারাক, অফিসার্স মেস, কমান্ড্যান্ট, ডেপুটি কমান্ড্যান্ট এর বাসভবনসহ অফিসার্স কোয়ার্টার, ১০০০ বর্গফুটের অফিসার্স কোয়ার্টার, গার্ড ভবন, মসজিদ, পাওয়ার হাউস, পাম্প হাউস, ট্রেনিং সেড, ক্যাফেটেরিয়া, পোডিয়াম, প্যারেড গ্রাউন্ড ও সুইমিং পুল ইত্যাদি রয়েছে।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম এমপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূদুর প্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে উন্নত ধনী দেশে পরিণত করার কথা আজ কোন স্বপ্ন নয়। দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান।
তিনি আরো বলেন, সরকার কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তর করছে। রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দৃষ্টিনন্দনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে পূর্ণাঙ্গ জাদুঘরে পরিণত করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটি চালু হলে সেখানে আগতরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার আত্মত্যাগ দেখতে পাবে, জানতে পারবে।
এদিকে, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য জনগণ যেটা মনে করবে, দিন শেষে সরকার তাই করবে। যে যাই বলুক, যেটা আমাদের জন্য সঠিক সেটাই করব। যেটা মানুষকে নিরাপদ থাকতে সহায়তা করে, মানুষের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করে, আমরা সেটাই করে যাচ্ছি।
নবনির্মিত রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই এখন সাইবার রিলেটেড ক্রাইমের জন্য আইন আছে। কানাডাতে আইন আছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো নিউজ শেয়ার করা যায় না। কারণ হলো একজন অপরাধী যদি ভুল তথ্য শেয়ার করে তবে যে প্লাটফর্ম ব্যবহার করা হবে তাদেরকেও দায়ী করা হবে। এরকম আইন ফ্রান্সে আছে, জার্মানিতে আছে। এসব দেশকে গণতন্ত্রের সুতিকাগার বলা হয়। বড় বড় গণমাধ্যম বন্ধ পর্যন্ত হয়ে গেছে।’